- নোয়াখালীর প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক হানিফের ইন্তেকা
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রথম জাতীয় সংসদের নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ (৮২) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এ সভাপতি সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বায়তুল মোকাররমে ও রোববার (৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় নোয়াখালী জিলা স্কুল মাঠে জানাযা শেষে জেলা কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। তার মৃত্যুতে নোয়াখালীর রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া বিরাজ করছে।
অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ ১৯৩৯ সালে নোয়াখালীর সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে প্রয়াত স্বনামধন্য সুফিসাধক শাহ্ আবদুস সামাদ খলিলপুরীর মাতৃয়ালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। অধ্যাপক হানিফের পৈতৃক নিবাস সোনাইমুড়ী উপজেলার ৮নং সোনাপুর ইউনিয়নে। তার পিতা বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন প্রয়াত মৌলভী মোহাম্মদ ইব্রাহিম।
অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত হন। ১৯৫৮ সালে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনে জেলা সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি ও একই সালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৬৪ সালে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি, ১৯৬৫ সালে গঠিত ছাত্রলীগের গোপন সংগঠন বেঙ্গল লিবারেশন ফোর্সের (বিএলএফ) কেন্দ্রীয় সদস্য, ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য (এমএনএ), ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে রাজনগর ক্যাম্পের ক্যাম্প ইন চিফের দায়িত্ব পালন করেন।
পেশাগত জীবনে তিনি বঙ্গবন্ধুর উৎসাহে ১৯৬৬ সালে কিছুদিন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। একই সালে পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি থাকাকালে তিনি নোয়াখালী কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে অধ্যাপনায় এবং ১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন গভর্নর মোনায়েম খাঁর আর্দশের রাজনৈতিক কারণে তিনি কলেজের অধ্যাপনার চাকরি ছেড়ে দেন।