চাটখিলে সাংবাদিক পরিচয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ
চাটখিল প্রতিনিধিঃ
চাটখিলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি ও চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মো. এমরান হোসেন সোহাগ পেশায় একজন বনাজী কবিরাজ হলেও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলার সাহাপুর এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে ঢুকে নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারন করে পরবর্তীতে চাঁদা দাবি করে। এব্যাপারে সাহাপুর বাজারের জননী হোটেলের ম্যানেজার সাহাদাত হোসেন রোববার (০৭ জুলাই) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সোহাগ কবিরাজের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, সোহাগ কবিরাজ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জননী হোটেল সহ বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। গত ১৬ জুন সোহাগ জননী হোটেলে ঢুকে হোটেল মালিক মো. দুলাল কে হোটেল থেকে উঠে বাহিরে গিয়ে একান্তে কথা বলতে প্রস্তাব করে। ঐ প্রস্তাবে তিনি রাজি না হয়ে, বললেন যা বলার হোটেলে সবার সামনে বলতে। পরবর্তীতে সোহাগ তার মোবাইল থেকে পূর্বে ধারন করে রাখা ভিডিও দেখিয়ে বলে, এই ভিডিও ফেসবুক সহ সকল অনলাইনে পোস্ট করা হলে হোটেলের অনেক ক্ষতি হবে। তাই তাকে খরচ দিলে সে ঐ ভিডিও পোস্ট করবে না। এতে হোটেল মালিক খরচ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করিলে, সোহাগ ধমক দিয়ে বলে, ইউএনও, এসিল্যান্ড ও থানা পুলিশ এনে তাদের জেল-জরিমানা সহ সম্মান হানি করিবে।
অভিযোগে আরো জানা যায়, মো. এমরান হোসেন সোহাগ পেশায় একজন বনাজী কবিরাজ। তিনি এলাকায় অর্শ্ব ও পাইলস রোগের বনাজী ঔষধ দিয়ে থাকে বিধায় স্থানীয়রা তাকে সোহাগ কবিরাজ নামেই চিনে। ইদানিং তিনি বিভিন্ন নামে-বেনামে অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের একাধিক প্রেস কার্ড গলায় ঝুলিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে অনেকটা ম্যাজিস্ট্রেটিজ পাওয়ার দেখিয়ে নিজের মোবাইলে ভিডিও ধারন করে। পরবর্তীতে ঐ ভিডিও ফেসবকু সহ বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে অপপ্রচার করার ভয়ভীতি লাগিয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা দাবি করে। তার কথা মত চাঁদা না দিলে সে ব্যবসায়ীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীন অভিযোগ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান কে গণশুনানির নির্দেশ দিয়েছেন।