নোয়াখালীর পত্রিকা ডেস্কঃ
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া বাজারে অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে বাগ বিতন্ডার জেরে যাত্রীর মারধরে সাইফুল ইসলাম কিরণ (৩৫) নামে এক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত মিজান হোসেনকে আটক করেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে অটোচালকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
নিহত কিরণ উপজেলার সোমপাড়া ইউনিয়নের প্রসাদপুর দাই বাড়ির মৃত মো.হানিফের ছেলে। অপরদিকে, আটক মিজান একই ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের আব্দুল হাশেম মুন্সি বাড়ির মৃত নাজির আহম্মদের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,অভিযুক্ত মিজান উপজেলার সোমপাড়া বাজারের থাই এ্যালুমিনিয়াম ব্যবসা করে। ভিকটিম অটোচালক কিরণ তার পূর্ব পরিচিত ছিল, ঘটনার দিন সোমবার বিকেলে সোমপাড়া বাজার থেকে ব্যবসায়ী মিজানের স্ত্রী সহ সন্তানদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া জন্য ভাড়া নিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। পরে অটোচালক কিরণ মিজানের ভাড়া না নিয়ে সেখান থেকে অন্য যাত্রী নিয়ে উপজেলার অলিপুরে চলে যায়। সেখানে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কিরণ বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ আরও জানায়, কিরণের মৃত্যুর খবর পেয়ে তার স্বজনেরা মিজানের দোকানে হামলা করে তাকে মারধরের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনীর সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। একই সাথে ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করা হয়।
ঘটনাস্থলে থাকা চাটখিল উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মহিউদ্দিন হাসানের সাথে কথা বললে তিনি জানান,সামান্য একটি বিষয় থেকে বড় একটি ঘটনা ঘটে গেছে বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, আমরা ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি নইলে আরেকটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে যেত।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে।