হাতিয়ায় ইউএনওর নির্দেশে বাল্যবিয়ে বন্ধ করল পুলি
হাতিয়া প্রতিনিধিঃ
দুপুরে বরসহ অতিথিরা কনের বাড়িতে আসার কথা। এর আগেই ইউএনও-র নির্দেশে পুলিশ গিয়ে সব পন্ড করে দেয়। এতে করে বন্ধ হয়ে গেছে এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিবাহ। রোববার (২৮ মে) বেলা ১১টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ায় এই ঘটনাটি ঘটেছে।
মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। বর মো. শরীফ চরকিং ইউনিয়নের গামছাখালী গ্রামের মো. আলা উদ্দিনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কায়সার খসরু বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজন মোবাইল ফোনে বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানায়। তা বন্ধে প্রথমে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে বিয়ের সব কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, আজ রোববার দুপুরে কনের বাড়িতে বিয়ের আয়োজন চলছিল। বরযাত্রীসহ তিন শতাধিক অতিথিকে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। ডেকোরেশন ভাড়া করে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করা হয় বাড়ির উঠানে। বাড়ির দরজায় তৈরি করা হয় বর্ণিল তোরণ। কিন্তু বেলা ১১টার দিকে পুলিশ গিয়ে বরের স্টেজসহ প্যান্ডেলের সব নামিয়ে ফেলতে বলে। পুলিশ দেখে প্রথমে কনে বাড়ির সবাই পালিয়ে গেলেও পরে এসে বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করার মুচলেকা দেয়।
স্থানীয় নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী বলেন, সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কনের বাড়ি যান তিনি। এ সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতিতে কনের জন্মনিবন্ধন দেখে অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে মেয়ের বাবা লিখিতভাবে মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।