ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনাইমুড়িতে ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার জের, বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

  • বিধান ভৌমিক
  • আপডেট সময় ০৬:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • ২২৭২ Time View
  • সোনাইমুড়িতে ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার জের, বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামল

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধিঃ
১৩ জুলাই নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে যোগ দিতে আসা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার জেরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সজিবুল ইসলাম নামে এক ছাত্রলীগকর্মী। মামলায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের অভিযোগ করা হয়।
রোববার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সজিবুল ইসলাম মামলাটি করেন। আসামিরা আত্মগোপনে থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোতাহার হোসেন মানিক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজায়ে রাব্বি মাহবুব, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল মনসুর সেলিম, অ্যাডভোকেট তুহিন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ আলম ফরহাদ, বিএনপি নেতা কুতুব উদ্দিন সানি, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যা বুলুর ছেলে মোহাম্মদ সানিয়াত, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন টুটুল, উপজেলা যুবদল সভাপতি জসিম উদ্দিন, কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন, সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মোস্তাফিজ ভূঁইয়া, পৌর যুবদল সভাপতি মারুফুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি নাজিম উদ্দীন রনি, সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সাদ্দাম, পৌর ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দিন রাজু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল উদ্দিন সজিবসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ইশরাকের গাড়ি বহর নিয়ে আসার পথে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের দলীয় ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেন উৎসুক বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে থানার সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগ এর প্রতিবাদ করে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে সেখানে চার-পাঁচজন ছাত্রলীগকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে সজিবুল ইসলাম মামলা করেন।
১৪ জুলাই নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে যোগ দিতে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ১৩ জুলাই গাড়ি বহর নিয়ে সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়ক পার হচ্ছিলেন। পথে থানার সামনে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইশরাকের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে সেখানে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং তিনজন ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ করেন উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সাদ্দাম।

সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক জানান, সেদিন আমাদের নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে ইশরাক হোসেনকে বরণ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এ মামলাটি গায়েবী, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মামলা দিয়ে আমাদের কখনোই দমিয়ে রাখতে পারবে না। সরকারের পতন সময়ের দাবি মাত্র।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com

চাটখিল মহিলা কলেজ মাঠে জঙ্গলে ভরা: সাপ-বিচ্ছুর আতঙ্কে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা

সোনাইমুড়িতে ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার জের, বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় ০৬:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুলাই ২০২৩
  • সোনাইমুড়িতে ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার জের, বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামল

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধিঃ
১৩ জুলাই নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে যোগ দিতে আসা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার জেরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় বিএনপির ৩০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সজিবুল ইসলাম নামে এক ছাত্রলীগকর্মী। মামলায় হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার ক্ষতিপূরণের অভিযোগ করা হয়।
রোববার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার সজিবুল ইসলাম মামলাটি করেন। আসামিরা আত্মগোপনে থাকায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোতাহার হোসেন মানিক, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজায়ে রাব্বি মাহবুব, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল মনসুর সেলিম, অ্যাডভোকেট তুহিন চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ আলম ফরহাদ, বিএনপি নেতা কুতুব উদ্দিন সানি, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যা বুলুর ছেলে মোহাম্মদ সানিয়াত, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন টুটুল, উপজেলা যুবদল সভাপতি জসিম উদ্দিন, কাউন্সিলর জসিম উদ্দিন, সাবেক উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি মোস্তাফিজ ভূঁইয়া, পৌর যুবদল সভাপতি মারুফুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি নাজিম উদ্দীন রনি, সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সাদ্দাম, পৌর ছাত্রদল সভাপতি আলাউদ্দিন রাজু, সাধারণ সম্পাদক সোহেল উদ্দিন সজিবসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৩০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে ওই মামলায় আসামি করা হয়।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন বলেন, ইশরাকের গাড়ি বহর নিয়ে আসার পথে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের দলীয় ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেন উৎসুক বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে থানার সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগ এর প্রতিবাদ করে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হলে সেখানে চার-পাঁচজন ছাত্রলীগকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে সজিবুল ইসলাম মামলা করেন।
১৪ জুলাই নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রাপূর্ব সমাবেশে যোগ দিতে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ১৩ জুলাই গাড়ি বহর নিয়ে সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়ক পার হচ্ছিলেন। পথে থানার সামনে পৌঁছালে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইশরাকের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে সেখানে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ এবং তিনজন ছাত্রদল ও যুবদল নেতাকে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগ করেন উপজেলা ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সাদ্দাম।

সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোতাহের হোসেন মানিক জানান, সেদিন আমাদের নেতাকর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে ইশরাক হোসেনকে বরণ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে। এ মামলাটি গায়েবী, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মামলা দিয়ে আমাদের কখনোই দমিয়ে রাখতে পারবে না। সরকারের পতন সময়ের দাবি মাত্র।