লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে প্রচারণার শেষ রাতে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাল্টা পাল্টি ধাওয়া এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছে।
সংঘর্ষের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইব্রাহিম বাবুল মোল্লা (চশমা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসেন হাওলাদারের (আনারস) নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করা হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ইউনিয়নের ফজু মিয়ার হাটে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এখানে নৌকার প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সাগর।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, প্রচারণার শেষ দিনে চশমা ও আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে সভা চলছিল। এ সময় নৌকার সমর্থকরা নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা। পরে ফজু মিয়ার হাটে বিদ্রোহী প্রার্থী বাবুল মোল্লা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে উভয়ের (নৌকা ও চশমা) সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা পাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
এ ঘটনায় আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দ্বিতীয় ধাপে জেলার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন, চর কাদিরা, চরলরেন্স এবং রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউপি নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে। এর মধ্যে চরলরেন্স ইউপিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন মাস্টার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
বাকি তিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন, চারটি ইউনিয়নে সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ১৭১ জন ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য পদে ৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।