ঢাকা ০৮:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে সুদূর পেরু থেকে এসে সাওসিডো ঘর বাঁধলেন নোয়াখালীর চাটখিলের আরমানের সঙ্গে

  • গুলজার সৈকত
  • আপডেট সময় ০৭:১২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  • ২৩০০ Time View
  1. প্রেমের টানে সুদূর পেরু থেকে এসে সাওসিডো ঘর বাঁধলেন নোয়াখালীর চাটখিলের আরমানের সঙ্গ

গুলজার সৈকতঃ
প্রেমের টানে এবার নোয়াখালীর চাটখিলে এসে ঘর বাঁধলেন ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরুর তরুণী আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো (৩৩)। তিনি ভালোবেসে বিয়ে করলেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ঘাটলাবাগ এলাকার বারাই বাড়ির নুর আলমের ছেলে মো. আরমান হোসেনকে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) কারাঞ্জা সাওসিডোরকে জন্মস্থান চাটখিলে নিয়ে আসেন আরমান।
প্রেমের টানে বাংলাদেশের এসে বিয়ে করায় এই নববধূকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন আশেপাশের এলাকার মানুষ।
আরমান বাংলাদেশ পুলিশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কনস্টেবল পদে কর্মরত।
জানা যায়, ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আরমানের সঙ্গে পরিচয় হয় পেরুর তরুণী কারাঞ্জা সাওসিডোর। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব গড়ায় ভালোবাসার সম্পর্কে। ৬ বছরের ভালোবাসা এবার সম্পূর্ণ হয় বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। নোয়াখালীর চাটখিলের তরুণ আরমানের টানে পেরু থেকে গত ২ জুলাই বাংলাদেশের ছুটে আসেন কারাঞ্জা সাওসিডোর।

ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কারাঞ্জা সাওসিডোরকে রিসিভ করতে ছুটে যান আরমান হোসেন। ওইদিনই দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন ঢাকা অবস্থানের পর বৃহস্পতিবার কারাঞ্জা সাওসিডোরকে জন্মস্থান চাটখিলে নিয়ে আসেন আরমান। বর্তমানে তারা চাটখিল এলাকার বাড়িতেই বসবাস করছেন। সেখানে নববধূ দেখতে ছুটে আসছেন আশপাশের মানুষ।
ভিনদেশি পুত্রবধূ পেয়ে খুশি আরমানের পরিবারও।

আরমান হোসেন বলেন, আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডোর সাথে আমার মোবাইলে পরিচয় এবং বন্ধুত্ব হয়। ৬ বছর আমাদের মোবাইলেই কথা হয়েছে। তাকে কখনও সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। কারাঞ্জা সাওসিডোর এবং আমি দুজনে মিলেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুযায়ী কারাঞ্জা সাওসিডোর বাংলাদেশ আসলে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। আমাদের নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

বাংলা বলতে না পারা কারাঞ্জা সাওসিডোর ইংরেজিতে বলেন, আমি নিজ ইচ্ছায় আমাদের ভালবাসার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতেই আরমানের কাছে ছুটে এসেছি। আমরা যেন সুখী হতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

রাতের আধাঁরে কাটল শত বছরের বটবৃক্ষ —————————————————————- চাটখিলে ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ উপেক্ষা করে মার্কেট নির্মাণ

প্রেমের টানে সুদূর পেরু থেকে এসে সাওসিডো ঘর বাঁধলেন নোয়াখালীর চাটখিলের আরমানের সঙ্গে

আপডেট সময় ০৭:১২:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩
  1. প্রেমের টানে সুদূর পেরু থেকে এসে সাওসিডো ঘর বাঁধলেন নোয়াখালীর চাটখিলের আরমানের সঙ্গ

গুলজার সৈকতঃ
প্রেমের টানে এবার নোয়াখালীর চাটখিলে এসে ঘর বাঁধলেন ল্যাটিন আমেরিকার দেশ পেরুর তরুণী আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো (৩৩)। তিনি ভালোবেসে বিয়ে করলেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার ঘাটলাবাগ এলাকার বারাই বাড়ির নুর আলমের ছেলে মো. আরমান হোসেনকে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) কারাঞ্জা সাওসিডোরকে জন্মস্থান চাটখিলে নিয়ে আসেন আরমান।
প্রেমের টানে বাংলাদেশের এসে বিয়ে করায় এই নববধূকে দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন আশেপাশের এলাকার মানুষ।
আরমান বাংলাদেশ পুলিশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কনস্টেবল পদে কর্মরত।
জানা যায়, ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে আরমানের সঙ্গে পরিচয় হয় পেরুর তরুণী কারাঞ্জা সাওসিডোর। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব গড়ায় ভালোবাসার সম্পর্কে। ৬ বছরের ভালোবাসা এবার সম্পূর্ণ হয় বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে। নোয়াখালীর চাটখিলের তরুণ আরমানের টানে পেরু থেকে গত ২ জুলাই বাংলাদেশের ছুটে আসেন কারাঞ্জা সাওসিডোর।

ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কারাঞ্জা সাওসিডোরকে রিসিভ করতে ছুটে যান আরমান হোসেন। ওইদিনই দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন ঢাকা অবস্থানের পর বৃহস্পতিবার কারাঞ্জা সাওসিডোরকে জন্মস্থান চাটখিলে নিয়ে আসেন আরমান। বর্তমানে তারা চাটখিল এলাকার বাড়িতেই বসবাস করছেন। সেখানে নববধূ দেখতে ছুটে আসছেন আশপাশের মানুষ।
ভিনদেশি পুত্রবধূ পেয়ে খুশি আরমানের পরিবারও।

আরমান হোসেন বলেন, আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডোর সাথে আমার মোবাইলে পরিচয় এবং বন্ধুত্ব হয়। ৬ বছর আমাদের মোবাইলেই কথা হয়েছে। তাকে কখনও সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি। কারাঞ্জা সাওসিডোর এবং আমি দুজনে মিলেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুযায়ী কারাঞ্জা সাওসিডোর বাংলাদেশ আসলে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। আমাদের নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।

বাংলা বলতে না পারা কারাঞ্জা সাওসিডোর ইংরেজিতে বলেন, আমি নিজ ইচ্ছায় আমাদের ভালবাসার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতেই আরমানের কাছে ছুটে এসেছি। আমরা যেন সুখী হতে পারি সেজন্য সবার কাছে দোয়া চাই।