ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী বিভাগ চাই’ দাবিতে প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন

বছরের প্রাচীন জেলা নোয়াখালীকে পৃথক বিভাগ, জেলার বিভিন্ন উপজেলাকে বিভাজন করে নতুন সাতটি উপজেলা গঠন এবং নতুন উপজেলাগুলোকে একত্রিত করে হাতিয়াকেন্দ্রিক নতুন জেলা গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি তোলেন নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি।
সংগঠনটির নেতারা নোয়াখালীকে কোনোভাবে বিভাগ থেকে বঞ্চিত করা হলে অনতিবিলম্বে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন।

তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী জেলা নোয়াখালীকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনের মূল পরিকল্পনাকারী খন্দকার মোশতাকের জন্মস্থান কুমিল্লাকে কোনোভাবেই যে কোনো নামে বিভাগ মেনে নেবে না বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নোয়াখালী। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির শতকরা ৩৫ ভাগের কাছাকাছি নিয়ন্ত্রণ করে নোয়াখালী অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। সুতরাং নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা না করা হবে বিমাতাসুলভ আচরণ।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, রাজধানী থেকে সড়কপথে কুমিল্লার দূরত্ব মাত্র ৮০/৮৫ কিলোমিটার, মাত্র ঘণ্টাখানেকের পথ। আর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা হতে রাজধানী দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার, আধা ঘণ্টার পথ। সুতরাং রাজধানীর এত কাছাকাছি জেলা কুমিল্লাকে বিভাগ করার কোনো সুযোগ নেই। আবার কুমিল্লা থেকে মাত্র ছয়-সাত কিলোমিটার পূর্বে ভারতের ত্রিপুরার সোনামুড়া বাজার, ফলে ভৌগোলিকভাবে এবং কৌশলগত কারণেও কুমিল্লাকে কোনোভাবেই বিভাগ করা যায় না। মানচিত্রের এক কোণোয় অবস্থিত একটি পকেট জায়গাকে বিভাগ করার কোনোই সুযোগ নেই।

এসময় সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, বঙ্গপোসাগর বিধৌত বৃহত্তর নোয়াখালীকে আলাদা বিভাগ ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। দেশ-জাতি এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে। বঙ্গনেত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা করবেন, এমন প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কোটি মানুষের ।সভায় বক্তারা বলেন, নোয়াখালী অঞ্চলের আয়তন পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার, অথচ এ জেলার উপজেলা সংখ্যা মাত্র নয়টি, পক্ষান্তরে কুমিল্লার আয়তন তিন হাজার ৮৫ বর্গকিলোমিটার, এ জেলায় উপজেলার সংখ্যা ১৭টি। দেশ-জাতির উন্নয়নের স্বার্থে এ বৈষম্য দূর করতে হবে। নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলাকে বিভাজন করে আরও কমপক্ষে সাতটি নতুন উপজেলা করতে হবে এবং এ নবগঠিত উপজেলাগুলোর সমন্বয়ে হাতিয়াকেন্দ্রিক একটি নতুন জেলা গঠন করতে হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফুয়হাদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে একাধিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়।

নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন সম্পাদক মো. রফিকুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের অবৈধ ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্বে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী করিম মেম্বার

নোয়াখালী বিভাগ চাই’ দাবিতে প্রেস ক্লাবে মানববন্ধন

আপডেট সময় ০৫:৩৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ নভেম্বর ২০২১

বছরের প্রাচীন জেলা নোয়াখালীকে পৃথক বিভাগ, জেলার বিভিন্ন উপজেলাকে বিভাজন করে নতুন সাতটি উপজেলা গঠন এবং নতুন উপজেলাগুলোকে একত্রিত করে হাতিয়াকেন্দ্রিক নতুন জেলা গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি তোলেন নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটি।
সংগঠনটির নেতারা নোয়াখালীকে কোনোভাবে বিভাগ থেকে বঞ্চিত করা হলে অনতিবিলম্বে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেন।

তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী জেলা নোয়াখালীকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনের মূল পরিকল্পনাকারী খন্দকার মোশতাকের জন্মস্থান কুমিল্লাকে কোনোভাবেই যে কোনো নামে বিভাগ মেনে নেবে না বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের নোয়াখালী। বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির শতকরা ৩৫ ভাগের কাছাকাছি নিয়ন্ত্রণ করে নোয়াখালী অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা। সুতরাং নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা না করা হবে বিমাতাসুলভ আচরণ।

মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, রাজধানী থেকে সড়কপথে কুমিল্লার দূরত্ব মাত্র ৮০/৮৫ কিলোমিটার, মাত্র ঘণ্টাখানেকের পথ। আর কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা হতে রাজধানী দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার, আধা ঘণ্টার পথ। সুতরাং রাজধানীর এত কাছাকাছি জেলা কুমিল্লাকে বিভাগ করার কোনো সুযোগ নেই। আবার কুমিল্লা থেকে মাত্র ছয়-সাত কিলোমিটার পূর্বে ভারতের ত্রিপুরার সোনামুড়া বাজার, ফলে ভৌগোলিকভাবে এবং কৌশলগত কারণেও কুমিল্লাকে কোনোভাবেই বিভাগ করা যায় না। মানচিত্রের এক কোণোয় অবস্থিত একটি পকেট জায়গাকে বিভাগ করার কোনোই সুযোগ নেই।

এসময় সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা বলেন, বঙ্গপোসাগর বিধৌত বৃহত্তর নোয়াখালীকে আলাদা বিভাগ ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। দেশ-জাতি এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে। বঙ্গনেত্রী শেখ হাসিনা নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণা করবেন, এমন প্রত্যাশা এ অঞ্চলের কোটি মানুষের ।সভায় বক্তারা বলেন, নোয়াখালী অঞ্চলের আয়তন পাঁচ হাজার বর্গকিলোমিটার, অথচ এ জেলার উপজেলা সংখ্যা মাত্র নয়টি, পক্ষান্তরে কুমিল্লার আয়তন তিন হাজার ৮৫ বর্গকিলোমিটার, এ জেলায় উপজেলার সংখ্যা ১৭টি। দেশ-জাতির উন্নয়নের স্বার্থে এ বৈষম্য দূর করতে হবে। নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন উপজেলাকে বিভাজন করে আরও কমপক্ষে সাতটি নতুন উপজেলা করতে হবে এবং এ নবগঠিত উপজেলাগুলোর সমন্বয়ে হাতিয়াকেন্দ্রিক একটি নতুন জেলা গঠন করতে হবে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ফুয়হাদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকতের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে একাধিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেয়।

নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও দৈনিক নোয়াখালী প্রতিদিন সম্পাদক মো. রফিকুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতির সভাপতি ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন প্রমুখ।