নোয়াখালীর হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা ট্রলার ডুবি, ২০ জেলে জীবিত উদ্ধার, নিখোঁজ
হাতিয়া প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর হাতিয়ায় বঙ্গোপসাগরে এমভি ফাতেমা-১ নামে মাছ ধরার একটি ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রলারে থাকা ২০ জেলে জীবিত উদ্ধার হলেও নিখোঁজ রয়েছে আব্দুর রহমান (৫০) নামে একজন।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকালে নিঝুমদ্বীপের দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ আব্দুর রহমান উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের বড়দেইল গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি ট্রলারের বাবুর্চি হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক মোজাম্মেল হোসেন জানান, গত তিন দিন আগে ২১ মাঝি-মাল্লা নিয়ে সাগরে মাছ শিকারে যান তারা। সাগর উত্তাল হয়ে পড়ায় তীরে ফিরে আসছিলেন। তীরে আসার পথে সকালে প্রচন্ড ঢেউয়ের মধ্যে পড়ে ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে ২০ মাঝি-মাল্লা সাঁতরিয়ে পাশে থাকা একটি ট্রলারে গিয়ে উঠে। কিন্তু কেবিনের মধ্যে থাকা ট্রলারের বাবুর্চি আব্দুর রহমান বের হতে পারেনি। তাকেসহ ট্রলারটি একেবারে ডুবে যায়।
জেলেদের উদ্ধার করা এমভি মা আয়েশা ট্রলারের মাঝি আলা উদ্দিন জানান, গত রাত থেকে সাগর প্রচন্ড উত্তাল ছিল। এতে সাগরে থাকা সকল মাছ ধরা ট্রলার তীরে চলে আসতে থাকে। সকালে তাদের পাশে থাকা এমভি ফাতেমা-১ নামে ট্রলারটি ঢেউয়ের আঘাতে ডুবে যায়। পরে সাগরে ভাসতে থাকা মাঝি-মাল্লাদের উদ্ধার করে ঘাটে নিয়ে আসে তারা। বৈরি আবহাওয়ার কারণে নিখোঁজ জেলেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন জানান, ট্রলারের জেলেদের বাড়ি তার ওয়ার্ডে। নিখোঁজ আব্দুর রহমানের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে তাকে উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। জীবিত উদ্ধার হওয়া জেলেদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদেরকে বুড়িরচর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম জানান, নিখোঁজ আব্দুর রহমানকে উদ্ধারের বিষয়ে কোস্টগার্ড ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। জীবিত উদ্বার হওয়া জেলেদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।