ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ৪ পুলিশসহ নিহত ৭

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ৪ পুলিশসহ নিহত ৭

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ পুলিশসহ অন্তত ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার সংঘর্ষের এসব ঘটনা ঘটে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়। এরপর তারা সেখানে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আনন্দমিছিল থেকে কয়েকজন সোনাইমুড়ী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এরপর উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।
পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আরও শতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩৪ জন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও রয়েছে বলেও জানা যায়।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার দিকে ৩৭ জন গুরুত্বর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে ৩জন হাসপাতালে মৃত আনা হয়। বর্তমানে ৩৪জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। আহতদের বেশির ভাগই সোনাইমুড়ীর। নিহত ৩ জনও ওই সাইডেরই।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত চার পুলিশ সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তখন ১৩ জন পুলিশ সদস্য সেখানে ছিল। এর মধ্যে ৪ জনকে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশকে জবাই করে হত্যা হয়েছে। ধোঁয়ায় ভবন ছেয়ে আছে। পুরো ভবন রিকভারি করার পরে প্রকৃত বিষয়টি বুঝা যাবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, শুনতেছি সাধারণ মানুষ ৩ জন কেউ বলতেছে ২জন মারা গেছে। বেঁচে যাওয়া এক পুলিশের বরাত দিয়ে এসপি আরও বলেন, প্রথমে আন্দোলনকারীরা আক্রমণ করে পরে তারা তাদের বাঁচানোর জন্য উপরে ফাঁকা গুলি করে। নিহতের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে, এএসআই মো.নাছির, এসআই মো.বাছির, কনস্টেবল মোশারফ ও গিয়াস। তবে গিয়াসের বিষয়টি এখনো পুরোপুরি শিউর না। ধোঁয়ার কারণে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিনা। সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিনের শরীরে ৫টি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

অপরদিকে, বিকেল পাঁচটার দিকে এক দল বিক্ষোভকারী আনন্দমিছিল নিয়ে চাটখিল থানায় হামলা চালান। থানা ভবনের ভেতরে প্রায় প্রতিটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুর অস্ত্রসহ লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের অবৈধ ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্বে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী করিম মেম্বার

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ৪ পুলিশসহ নিহত ৭

আপডেট সময় ০৫:৪৯:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ৪ পুলিশসহ নিহত ৭

সোনাইমুড়ী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানায় হামলা অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৪ পুলিশসহ অন্তত ৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার সংঘর্ষের এসব ঘটনা ঘটে।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা সোনাইমুড়ী বাইপাস এলাকায় জড়ো হয়। এরপর তারা সেখানে আনন্দ উল্লাস করতে থাকে। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আনন্দমিছিল থেকে কয়েকজন সোনাইমুড়ী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় থানার ভেতর থেকে পুলিশ গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। এরপর উত্তেজিত জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে থানা ঘেরাও করে হামলা-ভাঙচুর চালালে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।
পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা থানা ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আরও শতাধিক লোক আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩৪ জন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে এক পুলিশ সদস্যও রয়েছে বলেও জানা যায়।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা.মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যার দিকে ৩৭ জন গুরুত্বর জখম অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে ৩জন হাসপাতালে মৃত আনা হয়। বর্তমানে ৩৪জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। আহতদের বেশির ভাগই সোনাইমুড়ীর। নিহত ৩ জনও ওই সাইডেরই।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, এখন পর্যন্ত চার পুলিশ সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তখন ১৩ জন পুলিশ সদস্য সেখানে ছিল। এর মধ্যে ৪ জনকে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশকে জবাই করে হত্যা হয়েছে। ধোঁয়ায় ভবন ছেয়ে আছে। পুরো ভবন রিকভারি করার পরে প্রকৃত বিষয়টি বুঝা যাবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এসপি আসাদুজ্জামান বলেন, শুনতেছি সাধারণ মানুষ ৩ জন কেউ বলতেছে ২জন মারা গেছে। বেঁচে যাওয়া এক পুলিশের বরাত দিয়ে এসপি আরও বলেন, প্রথমে আন্দোলনকারীরা আক্রমণ করে পরে তারা তাদের বাঁচানোর জন্য উপরে ফাঁকা গুলি করে। নিহতের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে, এএসআই মো.নাছির, এসআই মো.বাছির, কনস্টেবল মোশারফ ও গিয়াস। তবে গিয়াসের বিষয়টি এখনো পুরোপুরি শিউর না। ধোঁয়ার কারণে আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছিনা। সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিনের শরীরে ৫টি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

অপরদিকে, বিকেল পাঁচটার দিকে এক দল বিক্ষোভকারী আনন্দমিছিল নিয়ে চাটখিল থানায় হামলা চালান। থানা ভবনের ভেতরে প্রায় প্রতিটি কক্ষে হামলা-ভাঙচুর অস্ত্রসহ লুটপাটের পর অগ্নিসংযোগ করা হয়।