ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর চাটখিলে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নোয়াখালীর চাটখিলে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া ইউনিয়নের গোপাইরবাগ গ্রামে স্ত্রী প্রিয়া আক্তারকে (১৯) জবাই করে হত্যার ঘটনায় স্বামী আল আমিনকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে শুনানি শেষে এর রায় প্রদান করেন, জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল আমিন চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া ইউনিয়নের গোপাইরবাগ গ্রামের আফতাব উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ির কালা মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার প্রায় ৪ বছর আগে পারিবারিক ভাবে প্রিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন আল আমিন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অযুহাতে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে প্রিয়ার উপর নির্যাতন চালাতো সে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় সে অন্যত্রে বিয়ে করবে এবং এ বিষয়ে কোন বাধা দিলে প্রিয়াকে খুন করে লাশ গুম করারও হুমকি দিতো আল আমিন। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না ফেরে ঘটনার ৩মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে যান প্রিয়া। এরপর থেকে তার কোন খোঁজখবর নিতেন না আল আমিন। ২০১৮ সালের ১৭জুন সে ঢাকা চলে যাবে তাই প্রিয়াকে শপিং করে দিবে বলে মোবাইলে কল দিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে আনে আল আমিন। তার কথা বিশ্বাস করে বিকেলে সে আসলে আল আমিন তাকে কৌশলে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায় এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি ধারালো চোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে চাটখিল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং পরবর্তীতে আল আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালতের ১৬৪ ধারায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় আসামি আল আমিন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, ঘটনাটি যেহেতু হত্যা আমরা আসামির মৃত্যুদণ্ড আশা করছিলাম। রায় ঘোষণার পর আসামিকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় আসামি পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে (ডিফেন্স ল‘ইয়ার) হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শিব নাথ ভৌমিক

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের অবৈধ ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্বে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী করিম মেম্বার

নোয়াখালীর চাটখিলে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০১:১৪:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩

নোয়াখালীর চাটখিলে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া ইউনিয়নের গোপাইরবাগ গ্রামে স্ত্রী প্রিয়া আক্তারকে (১৯) জবাই করে হত্যার ঘটনায় স্বামী আল আমিনকে (৩৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে শুনানি শেষে এর রায় প্রদান করেন, জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আল আমিন চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া ইউনিয়নের গোপাইরবাগ গ্রামের আফতাব উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ির কালা মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার প্রায় ৪ বছর আগে পারিবারিক ভাবে প্রিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন আল আমিন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন অযুহাতে শারীরিক ও মানুষিক ভাবে প্রিয়ার উপর নির্যাতন চালাতো সে। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় সে অন্যত্রে বিয়ে করবে এবং এ বিষয়ে কোন বাধা দিলে প্রিয়াকে খুন করে লাশ গুম করারও হুমকি দিতো আল আমিন। স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না ফেরে ঘটনার ৩মাস আগে বাবার বাড়িতে চলে যান প্রিয়া। এরপর থেকে তার কোন খোঁজখবর নিতেন না আল আমিন। ২০১৮ সালের ১৭জুন সে ঢাকা চলে যাবে তাই প্রিয়াকে শপিং করে দিবে বলে মোবাইলে কল দিয়ে নিজের বাড়িতে ডেকে আনে আল আমিন। তার কথা বিশ্বাস করে বিকেলে সে আসলে আল আমিন তাকে কৌশলে বাড়ির পাশের একটি বাগানে নিয়ে যায় এবং পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ি ধারালো চোরা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে চাটখিল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং পরবর্তীতে আল আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালতের ১৬৪ ধারায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় আসামি আল আমিন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, ঘটনাটি যেহেতু হত্যা আমরা আসামির মৃত্যুদণ্ড আশা করছিলাম। রায় ঘোষণার পর আসামিকে আদালত থেকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলায় আসামি পক্ষে কোন আইনজীবী না থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে (ডিফেন্স ল‘ইয়ার) হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শিব নাথ ভৌমিক