ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিন ব্যাংক কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড,৭৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড

তিন ব্যাংক কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড,৭৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
দুদকের দায়ের করা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী ফেনী শাখার তিন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধারায় ৩১ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। একইসাথে আসামীদের ৭৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড-ও প্রদান করা হয়।

সোমবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ (জেলা জজ) এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন, সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ও সহকারি অফিসার মো. মিজানুর রহমান।

দুদকের করা দুর্নীতি মামলায় আদালত প্রত্যেকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও প্রতারণার দায়ে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সাব রেজিস্ট্রার মতিগঞ্জ, সোনাগাজীর দলিল রেজিস্ট্রিতে ব্যবহৃত ও সরকারি খাতে জমার জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২০-২৫টি বান্ডিল একত্রে চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত তিনজন জমাকৃত ১৯লাখ ৩৬হাজার ১৬৫টাকার ১৬৬টি পে-অর্ডার সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অংক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন ও সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সাথে ফেরত আসা পে-অর্ডার গায়েব করে নিজেরা গ্রাহকের ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। পরে এ ঘটনায় দুদক নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার বাদি হয়ে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদক নোয়াখালীর তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
দুুদকের পিপি মো. আবুল কাশেম জানান, রেজিস্ট্রি অফিসের পে-অর্ডারের সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত চারটি ধারায় ৩১ বছরের কারাদন্ড ও ৮১ লাখ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচিত সেই ভাইরাল ভিডিও,সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে প্রচার, নোয়াখালীর সেই নারীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী

তিন ব্যাংক কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড,৭৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড

আপডেট সময় ০৪:২৯:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ নভেম্বর ২০২১

তিন ব্যাংক কর্মকর্তার ৩১ বছর কারাদণ্ড,৭৫ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
দুদকের দায়ের করা ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের মামলায় সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী ফেনী শাখার তিন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ধারায় ৩১ বছরের কারাদ- দিয়েছে আদালত। একইসাথে আসামীদের ৭৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড-ও প্রদান করা হয়।

সোমবার বিকেলে নোয়াখালী জেলা জজ আদালতের বিশেষ জজ (জেলা জজ) এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় প্রদান করেন। দ-প্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছেন, সোনালী ব্যাংক সোনাগাজী শাখার ম্যানেজার মো. রহিম উল্যাহ খন্দকার, শাখার দ্বিতীয় কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম ও সহকারি অফিসার মো. মিজানুর রহমান।

দুদকের করা দুর্নীতি মামলায় আদালত প্রত্যেকের ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও প্রতারণার দায়ে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১১ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সাব রেজিস্ট্রার মতিগঞ্জ, সোনাগাজীর দলিল রেজিস্ট্রিতে ব্যবহৃত ও সরকারি খাতে জমার জন্য সাব রেজিস্ট্রি অফিস থেকে ২০-২৫টি বান্ডিল একত্রে চালানে পে-অর্ডার নম্বর, টাকা ও তারিখ উল্লেখ করে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। দন্ডপ্রাপ্ত তিনজন জমাকৃত ১৯লাখ ৩৬হাজার ১৬৫টাকার ১৬৬টি পে-অর্ডার সরিয়ে রেখে পরবর্তীতে নগদে উত্তোলন, পে-অর্ডারের টাকার অংক বাড়িয়ে নগদে উত্তোলন ও সরকারি খাতে জমার জন্য চালানের সাথে ফেরত আসা পে-অর্ডার গায়েব করে নিজেরা গ্রাহকের ভূয়া স্বাক্ষর দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। পরে এ ঘটনায় দুদক নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক নুরুল ইসলাম সরকার বাদি হয়ে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদক নোয়াখালীর তৎকালীন সহকারি পরিচালক মো. মশিউর রহমান।
দুুদকের পিপি মো. আবুল কাশেম জানান, রেজিস্ট্রি অফিসের পে-অর্ডারের সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত চারটি ধারায় ৩১ বছরের কারাদন্ড ও ৮১ লাখ টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন।