ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তফসিল পরবর্তী সহিংসতা, নোয়াখালীতে বিএনপির ৪৩ নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, গ্রেফতার আড়াই শতাধিক

  • বিধান ভৌমিক
  • আপডেট সময় ০১:০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
  • ২২৬৬ Time View

তফসিল পরবর্তী সহিংসতা, নোয়াখালীতে বিএনপির ৪৩ নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, গ্রেফতার আড়াই শতাধিক

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নির্বাচনি শিডিউল ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীতে বিএনপির ৪৩ নেতাকর্মীর বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ পর্যন্ত জেলায় গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপির ২৫৭ নেতাকর্মী এবং ১০-১২ হাজার নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান।
তিনি বলেন ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর অত্যাচারকেও হার মানিয়েছে বর্তমান পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী পোটোয়া বাহিনী।

তিনি তার লিখিত অভিযোগে বলেন, বুধবার নির্বাচনি শিডিউল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল শেষে জেলা শহরের দত্তেরহাট এলাকায় বিএনপি নেতাদের ছয়টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, মাইজদী বাজার এলাকায় কারান্তরীণ জেলা কৃষক দলের আহবায়ক ভিপি পলাশের বাড়িঘরসহ ২২ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের বাড়িসহ ১৫ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এসব হামলার সময় হামলাকারীরা নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদেরও মারধর করে আহত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ জানান, সরকার একতরফা নির্বাচন সংঘটিত করার জন্য নোয়াখালীতে গত কয়েক দিনে ২৫৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে অকথ্য নির্যাতন করেছে। দত্তেরহাট এলাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সালে আহমেদকে না পেয়ে তার ছোট দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তার স্ত্রীকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী পেটোয়া বাহিনীর ভয়ে নোয়াখালীর ১০-১২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ সময় অ্যাডভোকেট কাজী কবির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম দিদার উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুরের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লা খান সোহেল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আওয়ামী লীগ জ্বালাওপোড়াও ও ভাঙচুরের রাজনীতি পছন্দ করে না। বিএনপি যদি আমাদের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ নেই বলে জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

নিজের অবৈধ ব্যবসাকে আড়াল করার জন্যই পুলিশের বিরুদ্বে মিথ্যাচারে লিপ্ত টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী করিম মেম্বার

তফসিল পরবর্তী সহিংসতা, নোয়াখালীতে বিএনপির ৪৩ নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, গ্রেফতার আড়াই শতাধিক

আপডেট সময় ০১:০৮:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩

তফসিল পরবর্তী সহিংসতা, নোয়াখালীতে বিএনপির ৪৩ নেতার বাড়িতে হামলা ভাঙচুর, গ্রেফতার আড়াই শতাধিক

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নির্বাচনি শিডিউল ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীতে বিএনপির ৪৩ নেতাকর্মীর বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ পর্যন্ত জেলায় গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপির ২৫৭ নেতাকর্মী এবং ১০-১২ হাজার নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান।
তিনি বলেন ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনীর অত্যাচারকেও হার মানিয়েছে বর্তমান পুলিশ বাহিনী ও আওয়ামী পোটোয়া বাহিনী।

তিনি তার লিখিত অভিযোগে বলেন, বুধবার নির্বাচনি শিডিউল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল শেষে জেলা শহরের দত্তেরহাট এলাকায় বিএনপি নেতাদের ছয়টি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, মাইজদী বাজার এলাকায় কারান্তরীণ জেলা কৃষক দলের আহবায়ক ভিপি পলাশের বাড়িঘরসহ ২২ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবের বাড়িসহ ১৫ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করেন আওয়ামী লীগ কর্মীরা। এসব হামলার সময় হামলাকারীরা নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদেরও মারধর করে আহত করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ জানান, সরকার একতরফা নির্বাচন সংঘটিত করার জন্য নোয়াখালীতে গত কয়েক দিনে ২৫৭ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে অকথ্য নির্যাতন করেছে। দত্তেরহাট এলাকায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সালে আহমেদকে না পেয়ে তার ছোট দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ তার স্ত্রীকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী পেটোয়া বাহিনীর ভয়ে নোয়াখালীর ১০-১২ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ সময় অ্যাডভোকেট কাজী কবির আহমেদ ও অ্যাডভোকেট আবদুল কাইয়ুম দিদার উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুরের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লা খান সোহেল অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, আওয়ামী লীগ জ্বালাওপোড়াও ও ভাঙচুরের রাজনীতি পছন্দ করে না। বিএনপি যদি আমাদের নেতাকর্মীদের ব্যাপারে প্রমাণ দিতে পারে তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ নেই বলে জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।