ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাটখিলে কবিরাজের সাংবাদিক পরিচয়: এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

  • গুলজার সৈকত
  • আপডেট সময় ০৪:২৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
  • ২২৩৬ Time View

চাটখিলে কবিরাজের সাংবাদিক পরিচয়: এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

চাটখিল প্রতিনিধিঃ
চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের মজু ব্যাপারী বাড়ির সেলিম মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ কবিরাজ এলাকায় অর্শ্ব ও পাইলস রোগের বনাজী ঔষধ বিক্রি করার সুবাধে তাকে এলাকা বাসী কবিরাজ হিসেবে চেনে।
তবে পঞ্চম শ্রেনীর গন্ডি পার হতে না পারা সোহাগ কবিরাজ ইদানিং হয়ে গেছে সাংবাদিক এমরান হোসেন সোহাগ! তা-ও আবার দুই একটি নয় কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও নামে-বেনামে অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক তিনি। তার দৌরাত্মে সাহাপুর ইউনিয়নের জনসাধারন অতিষ্ঠ।

সোহাগ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রিন্ট, অনলাইন পোর্টালের বুম ব্যবহার করে এবং গলায় একাধিক কার্ড ঝুলিয়ে প্রথমে মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারন করে। এরপর ঐ ছবি ও ভিডিও নিজের একাধিক ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ছবি ও ভিডিও দিয়ে নিউজ করার ভয়ভীতি লাগিয়ে গ্রামের সহজ-সরল লোকদের থেকে হাতিয়ে নেয় চাহিদামত অর্থ । কেউ তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে সোহাগের রোসানলে পড়তে হয় এবং ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি’র মাধ্যমে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়ে থাকে। ফলে ভয়ে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহাগ প্রতারণার উদ্দেশ্যে নামে-বেনামে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মসূচি ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বুম হাতে নিয়ে ঘুরে বেরায়। এসব অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টিতে আসার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

কয়েকদিন আগে সাহাপুর বাজারের জননী হোটেলে ঢুকে, সোহাগ মোবাইলে ভিডিও করে হোটেল মালিকের কাছে খরচ দাবি করে। নয়ত ঐ ভিডিও ফেসবুক সহ অনলাইনে পোস্ট করবে এবং এসিল্যান্ড কে এনে জরিমানা করাবে বলে সোহাগ ভয়ভীতি প্রর্দশণ করে। এদিকে প্রসাদপুর গ্রামের সেলিম ও সৌরভ দুই ভাইয়ের মাঝে তাদের পারিবারিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেলিম বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ার আগ পর্যন্ত সৌরভের বিরোধীয় দোকান বন্ধ রাখতে বলে দোকান ঘরে তালা মেরে দেয়। সোহাগ পারিবারিক ঐ ঘটনার ভিডিও ধারন করে সেলিম কে সন্ত্রাসী উপাধি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে। পরে সেলিম ঐ পোস্ট ডিলিট করতে বললে, সোহাগ মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এই ঘটনা সেলিম স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ করে সোহাগের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ে করে। চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক জানান, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করার একটি অভিযোগ গতকাল মঙ্গলবার সকালে থানায় দেওয়া হলেও দুপুরে উভয় পক্ষ সমঝোতায় গেছেন জানায়।

এমরান হোসেন সোহাগের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সেলিম আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। তাই আমি থানায় সেলিমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ের অভিযোগ সঠিক নয় বলেও তিনি জানান।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচিত সেই ভাইরাল ভিডিও,সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে প্রচার, নোয়াখালীর সেই নারীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী

চাটখিলে কবিরাজের সাংবাদিক পরিচয়: এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

আপডেট সময় ০৪:২৬:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

চাটখিলে কবিরাজের সাংবাদিক পরিচয়: এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

চাটখিল প্রতিনিধিঃ
চাটখিল উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের মজু ব্যাপারী বাড়ির সেলিম মিয়ার ছেলে এমরান হোসেন সোহাগ ওরফে সোহাগ কবিরাজ এলাকায় অর্শ্ব ও পাইলস রোগের বনাজী ঔষধ বিক্রি করার সুবাধে তাকে এলাকা বাসী কবিরাজ হিসেবে চেনে।
তবে পঞ্চম শ্রেনীর গন্ডি পার হতে না পারা সোহাগ কবিরাজ ইদানিং হয়ে গেছে সাংবাদিক এমরান হোসেন সোহাগ! তা-ও আবার দুই একটি নয় কয়েকটি ফেসবুক আইডি ও নামে-বেনামে অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক তিনি। তার দৌরাত্মে সাহাপুর ইউনিয়নের জনসাধারন অতিষ্ঠ।

সোহাগ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রিন্ট, অনলাইন পোর্টালের বুম ব্যবহার করে এবং গলায় একাধিক কার্ড ঝুলিয়ে প্রথমে মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারন করে। এরপর ঐ ছবি ও ভিডিও নিজের একাধিক ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে সংশ্লিষ্টদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ছবি ও ভিডিও দিয়ে নিউজ করার ভয়ভীতি লাগিয়ে গ্রামের সহজ-সরল লোকদের থেকে হাতিয়ে নেয় চাহিদামত অর্থ । কেউ তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করলে সোহাগের রোসানলে পড়তে হয় এবং ইউএনও, এসিল্যান্ড, ওসি’র মাধ্যমে শায়েস্তা করার হুমকি দিয়ে থাকে। ফলে ভয়ে কেউ কোন কথা বলতে সাহস পাচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোহাগ প্রতারণার উদ্দেশ্যে নামে-বেনামে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক কর্মসূচি ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বুম হাতে নিয়ে ঘুরে বেরায়। এসব অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করে রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টিতে আসার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

কয়েকদিন আগে সাহাপুর বাজারের জননী হোটেলে ঢুকে, সোহাগ মোবাইলে ভিডিও করে হোটেল মালিকের কাছে খরচ দাবি করে। নয়ত ঐ ভিডিও ফেসবুক সহ অনলাইনে পোস্ট করবে এবং এসিল্যান্ড কে এনে জরিমানা করাবে বলে সোহাগ ভয়ভীতি প্রর্দশণ করে। এদিকে প্রসাদপুর গ্রামের সেলিম ও সৌরভ দুই ভাইয়ের মাঝে তাদের পারিবারিক লেনদেন নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেলিম বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ার আগ পর্যন্ত সৌরভের বিরোধীয় দোকান বন্ধ রাখতে বলে দোকান ঘরে তালা মেরে দেয়। সোহাগ পারিবারিক ঐ ঘটনার ভিডিও ধারন করে সেলিম কে সন্ত্রাসী উপাধি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে। পরে সেলিম ঐ পোস্ট ডিলিট করতে বললে, সোহাগ মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এই ঘটনা সেলিম স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ করে সোহাগের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ে করে। চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক জানান, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করার একটি অভিযোগ গতকাল মঙ্গলবার সকালে থানায় দেওয়া হলেও দুপুরে উভয় পক্ষ সমঝোতায় গেছেন জানায়।

এমরান হোসেন সোহাগের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সেলিম আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়েছে। তাই আমি থানায় সেলিমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছি। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার বিষয়ের অভিযোগ সঠিক নয় বলেও তিনি জানান।