নোয়াখালী প্রতিনিধি
দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে
দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে দেশের চার বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এমন দুযোর্গপূর্ণ আবহাওয়ায় নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাতিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চাকমা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত চলার পাশাপাশি নৌযান চলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলতে বলা হয়েছে।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বুধবার ভোর থেকে নোয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত শুরু হয়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টিপাত কিছুটা বেড়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক আরজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় জেলাতে ২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।’
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় নোয়াখালীর হাতিয়া, সুবর্ণচর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে দুর্যোগ মোবাবিলায় পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে। এখন ঘূর্ণিঝড়ের গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করছি আমরা।’