ঢাকা ১২:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোম্পানীগঞ্জে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্বামী

কোম্পানীগঞ্জে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্বামী

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী হামিদা আক্তারকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্বামী শাহাদাত হোসেন। এ ঘটনায় রোববার রাতে নির্যাতিতা হামিদার পিতা আবদুল হালিম বাদী হয়ে জামাতা শাহাদাতসহ তিনজনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

পরকীয়া প্রেমে বাধা দিয়ে বেধড়ক মার খেয়েছেন হামিদা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূ। স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তার স্বামীর নাম শাহাদাত হোসেন (৩২)। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল হালিমের মেয়ে। অভিযুক্ত শাহাদাত চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মনু খাঁর বাড়ির শাহ আলমের ছেলে।

শনিবার দুপুরে চরহাজারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের ভাড়া বাসায় হামিদা আক্তারকে (২৮) মারধর করেন শাহাদাত হোসেন (৩২)। খবর পেয়ে বিকালে পরিবারের লোকজন ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে প্রেমের টানে শাহাদাতের হাত ধরে ঘর ছাড়েন হামিদা। এরপর বিয়ে করে ভাড়া বাসায় উঠেন দুজন। দুই বছরের এক ছেলেসন্তান নিয়ে তাদের জীবন সুন্দরভাবে যাচ্ছিল। এর মধ্যে রাজমিস্ত্রি কাজের সূত্রে শাহাদাত জড়িয়ে যায় পরকীয়ায়; যা নিয়ে এর আগেও প্রতিবাদ করার পর মারধরের শিকার হয়েছে হামিদা।

নির্যাতিতা হামিদা আক্তার জানান, শনিবার আমার স্বামী তিন দিন পর বাড়িতে ফেরার পর তার পরকীয়ার বিষয়ে বললে সে আমাকে খাটের নিচে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আমি আর কিছু বলতে পারি না। জ্ঞান ফিরে দেখি বিছানায় শুয়ে আছি। আহত অবস্থায় আমাকে ঘরে আটকে রাখা হয়।

হামিদার বাবা আবদুল হালিম বলেন, আমার মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। হাত এবং পায়ের অবস্থা ভালো নয়। রোববার রাতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনের বাবা শাহআলম বলেন, শাহাদাতের সঙ্গে গত দেড় বছর আমাদের সম্পর্ক নেই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

Noakhalir Patrika

প্রকাশক সম্পাদক গুলজার হোসেন সৈকত সার্বিক যোগাযোগ 01711577700 gulzar.shykot@gmail.com
জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচিত সেই ভাইরাল ভিডিও,সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বলে প্রচার, নোয়াখালীর সেই নারীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী

কোম্পানীগঞ্জে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্বামী

আপডেট সময় ০৬:১৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জুলাই ২০২৪

কোম্পানীগঞ্জে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্বামী

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী হামিদা আক্তারকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠালেন স্বামী শাহাদাত হোসেন। এ ঘটনায় রোববার রাতে নির্যাতিতা হামিদার পিতা আবদুল হালিম বাদী হয়ে জামাতা শাহাদাতসহ তিনজনকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন।

পরকীয়া প্রেমে বাধা দিয়ে বেধড়ক মার খেয়েছেন হামিদা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূ। স্বামীর নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। তার স্বামীর নাম শাহাদাত হোসেন (৩২)। নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূ বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবদুল হালিমের মেয়ে। অভিযুক্ত শাহাদাত চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের মনু খাঁর বাড়ির শাহ আলমের ছেলে।

শনিবার দুপুরে চরহাজারী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবদুল মান্নানের ভাড়া বাসায় হামিদা আক্তারকে (২৮) মারধর করেন শাহাদাত হোসেন (৩২)। খবর পেয়ে বিকালে পরিবারের লোকজন ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিন বছর আগে প্রেমের টানে শাহাদাতের হাত ধরে ঘর ছাড়েন হামিদা। এরপর বিয়ে করে ভাড়া বাসায় উঠেন দুজন। দুই বছরের এক ছেলেসন্তান নিয়ে তাদের জীবন সুন্দরভাবে যাচ্ছিল। এর মধ্যে রাজমিস্ত্রি কাজের সূত্রে শাহাদাত জড়িয়ে যায় পরকীয়ায়; যা নিয়ে এর আগেও প্রতিবাদ করার পর মারধরের শিকার হয়েছে হামিদা।

নির্যাতিতা হামিদা আক্তার জানান, শনিবার আমার স্বামী তিন দিন পর বাড়িতে ফেরার পর তার পরকীয়ার বিষয়ে বললে সে আমাকে খাটের নিচে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। আমি আর কিছু বলতে পারি না। জ্ঞান ফিরে দেখি বিছানায় শুয়ে আছি। আহত অবস্থায় আমাকে ঘরে আটকে রাখা হয়।

হামিদার বাবা আবদুল হালিম বলেন, আমার মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। হাত এবং পায়ের অবস্থা ভালো নয়। রোববার রাতে থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনের বাবা শাহআলম বলেন, শাহাদাতের সঙ্গে গত দেড় বছর আমাদের সম্পর্ক নেই।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুস সুলতান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।