আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ
গুলজার সৈকতঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে ব্যাপক হামলা-ভাঙচুর শেষে অগ্নিসংযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ সোমবার বেলা তিনটার দিকে ওই অগ্নিসংযোগ করা হয়।
হামলা ও অগ্নিসংযোগের অল্প কিছু সময় আগে বাড়িতে থাকা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা সপরিবার অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বেলা আড়াইটার পর শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর হাজার হাজার মানুষ কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে আনন্দ মিছিল শুরু করেন। একপর্যায়ে মিছিলকারীদের একটি অংশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এরপর ক্ষুব্ধ জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়ি বসুরহাট পৌরসভার বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়িতে হামলা চালান। হামলাকারীরা এ সময় বাড়ির ভেতরে ব্যাপক ভাঙচুর শেষে আগুন ধরিয়ে দেন। এ সময় কিছু ব্যক্তিকে বাড়ির ভেতর থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যেতে দেখেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলা-ভাঙচুরের অল্প কিছু সময় আগে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা সপরিবার বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানের উদ্দেশ্যে চলে গেছেন। কাদের মির্জার ওপর অতিষ্ঠ মানুষ এ সময় তাঁকে নানা গালমন্দ করতে দেখা গেছে।
সূত্র জানায়, ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি ছাড়াও বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর ভাগনে ব্যাংক কর্মকর্তা ফখরুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন একদল লোক। রাত নয়টার দিকে ওই হামলার ঘটে। তারা ওই সময় বাড়িতে ব্যাপক লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করেন। একই সময় বাড়িতে থাকা একটি প্রাইভেট কারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এই দুটি বাড়ি ছাড়াও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের কমপক্ষে ২০টি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, বিক্ষুব্ধ লোকজন ওবায়দুল কাদেরের গ্রামের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি বাড়িতেও হামলার খবর শোনা গেছে। তবে কেউ এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।